কক্সবাজার, বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০২৪

সীতাকুণ্ডে আগুন: ২২ জনের লাশ হস্তান্তর

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বেসরকারি বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণ ও আগুনে মৃত ২২ জনের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। 

রবিবার (৫ জুন) রাত থেকে সোমবার সকাল ১০টা পর্যন্ত লাশ হস্তান্তর করেছে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই আলাউদ্দিন তালুকদার এ তথ্য জানিয়েছেন।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান বলেন, ‘বিস্ফোরণ ও আগুনে মোট ৪৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ৪১ জনের লাশ চমেক হাসপাতালে আছে। বাকি আট জনের লাশ বিভিন্ন হাসপাতালে থাকতে পারে। ২২ জনের পরিচয় শনাক্ত হওয়ায় স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘অন্যদের পরিচয় শনাক্তে ডিএনএ পরীক্ষা করবে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় সংস্থাটির ফরেনসিক বিভাগ নিহতদের স্বজনদের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ শুরু করেছে। পরিচয় শনাক্তের পর লাশ হস্তান্তর করা হবে।’

 

নমুনা সংগ্রহে নেতৃত্বে দিচ্ছেন চট্টগ্রাম সিআইডির এডিশনাল এসপি জাহাঙ্গীর আলম। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘যেসব স্বজন দুর্ঘটনায় নিখোঁজ আছে দাবি করছেন, তাদের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। নিখোঁজের বাবা-মা, ভাই-বোন, কিংবা সন্তানদের মধ্যে যেকোনও দুই জনের নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। যেসব লাশ শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি, সেগুলোর নমুনার সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হবে।’
এদিকে বিস্ফোরণে আহতদের দেখতে সকাল ১০টায় চমেক হাসপাতালে আসেন চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন ও জেলা পুলিশ সুপার এস এম রশিদুল হক।
এ সময় আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘২২ জনের পরিচয় শনাক্ত হওয়ায় স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকিদের লাশ ডিএনএ পরীক্ষার পর হস্তান্তর করা হবে। তবে ডিএনএ রিপোর্ট পেতে প্রায় এক মাস সময় লাগবে। ততদিন এসব লাশ মর্গের ফ্রিজারে রাখা হবে।

পাঠকের মতামত: